Friday, September 9, 2016

ডায়াবেটিস নিরাময়

রেইকি চিকিৎসা 

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিরাময়

 -এম. মহিউদ্দিন ইসলাম 

রেইকি গ্রান্ডমাস্টার

মানব দেহে অগ্নাশয় বা প্যাংক্রিয়াস হল একটি জোড়া গ্রন্থি। এর এক অংশের কাজ হলো পাচক রস তৈরি করা। অন্য অংশ এন্ডোক্রাইন ভাগে (Endocrine Part) ইনসুলিন নামক এক প্রকার উত্তেজক রস বা হরমোন (Hormone) তৈরি করা। ইনসুলিন শর্করা গ্রহণে সাহায্য করে এবং শরীরে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। যদি কোন কারণে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনি সুচারুভারে তার কাজ সম্পাদন করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত শর্করা প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এই অবস্থাকেই বলা হয় ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় তাদের প্রস্রাবে পিঁপড়া আসে। তাদের প্রচন্ড ক্ষুধা পায়। পিপাসা বেড়ে যায়, রোগী বার বার মূত্র ত্যাগ করে। প্রস্রাব সাধারণ অবস্থার তুলনায় ৩/৪ বা ১০/১২ গুণ বেশি হতে দেখা যায়। অনেক রোগীর ওজন কমে যায়। অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে যায়। এ ক্লান্তি শারীরিক ও মানসিক দু’ভাবেই দেখা দেয়। ডায়াবেটিস শরীরে আরো রোগ ডেকে আনে। যেমন, কিডনি বিকার, স্নায়ু বিকার, শরীর অবশ লাগা, বুকজ্বালা, ক্ষয় রোগ, চর্ম রোগ, বিশেষ করে চুলকানি, দৃষ্টি ক্ষীণতা, ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়, চোখের জ্যোতি হারিয়ে যেতেও দেখা যায়। মেয়েদের গর্ভপাত, শরীরের কাটা ছেড়ায় চট করে না সারা, পচন ধরা বা গ্যাংগ্রীন ইত্যাদি। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে এ সকল উপসর্গ ছাড়াও ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। এ রোগ কিছুটা বংশানুক্রমিক। যাদের বংশগতভাবে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে তাদের শর্করা বা চিনি কম খাওয়া উচিত, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত এবং দৈহিক সক্রিয়তা বজায় রাখা উচিত। তাদের মানসিক উদ্বেগ, মেয়েদের গর্ভাবস্থা, মেনোপজের সময় আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে বেশী। জীবনে মধুরতা অনুভব না হওয়া, অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছা, গভীর দুঃখ, অত্যধিক দুশ্চিন্তা, টেনশান, কোন কিছু হওয়ার মহৎ উদ্দেশ্য কিন্তু প্রাপ্তি বাধা ইত্যাদিকে ডায়াবেটিসের মানসিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য খাদ্যের একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যে খাদ্যে খুব অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থাকে তাহাই তাদের উপযুক্ত খাবার। ডায়াবেটিস রোগীদের হালকা ব্যায়াম অথবা সকাল-বিকাল হাঁটাহাটি করা প্রয়োজন। খোলা জায়গায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা প্রাতঃ ভ্রমণ করতে পারলে খুব ভাল। শরীর থেকে যেন ঘাম বের হয়ে আসে। কারণ ব্যায়াম, শারীরিক শ্রম বা হাঁটাতে রক্তের মধ্যে উপস্থিত সুগারের অত্যধিক মাত্রাকে ইনসুলিনের ক্রিয়া ছাড়াই মাংসপেশী সরাসরি ব্যবহার করতে পারে। যাদের ওজন অধিক তাদের তা কমানো উচিত। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দেহ ও মনকে সবল ও সুস্থ রাখতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খাবার তালিকা করে খাবেন। কালো জাম, শসা, করলার রস, ধনে পাতার চাটনি, কাঁচা ঢেঁরস, টক দঈ অত্যন্ত উপকারী পথ্য। এই রোগে মেথিদানাও বেশ উপকারী। তবে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা আপনার হাতেই রয়েছে। শুধু মাত্র আপনার দুই হাতের স্পর্শেই আপনি নিজে যেমন ডায়াবেটিস সহ দেহের সকল রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারেন তেমনি পরিবারের অন্য সদস্যকেও মুক্ত রাখতে পারেন। শুধুমাত্র স্পর্শের দ্বারা উপশম কারী প্রাকৃতিক এই স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতির নাম ‘রেইকি’। যে চিকিৎসা পদ্ধতিতে শরীরের যাবতীয় ব্যাধি শুধুমাত্র দুই হাতের স্পর্শে (ক্ষেত্র বিশেষে স্পর্শ ছাড়া) নিরাময় হয় তাকে রেইকি বলে। রেইকি একটি স্বয়ংস¤পূর্ণ জাপানী বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির নাম। এ চিকিৎসা জাপন থেকে মহাত্মা ড. মিকাও উসুই’র হাতে শুরু হয়ে বর্তমানে আমেরিকা, অষ্টেলিয়া, জার্মানি, কানাডা, রাশিয়া, চীন, বৃটেন, ফ্রান্স, কোরিয়া, ইরান, তুরষ্ক, আরব দেশ সমূহ, ভারত সহ বিশ্বের সকল দেশে দেশে ব্যাপকভাবে চর্চা হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ সমূহে ইতোমধ্যে এর চর্চা শুরু হয়ে গেছে। কোন প্রকার ওষুধ, বিশেষ থেরাপি, প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট, ইনজেকশান, অপারেশান, যন্ত্র-পাতি, ছাড়াই ‘রেইকি চিকিৎসা’ দেহকে সুস্থ করে তোলে। রেইকি প্রয়োগ কালে স্পর্শের মাধ্যমে রোগী কসমিক এনার্জি অ্যাবজর্ব করেন তাঁর শরীরের বিভিন্ন এন্ডোক্রিন গ্লান্ড বা অন্তঃক্ষরা গ্রস্থির মাধ্যমে। রেইকি আপনার দেহ, মন, আত্মা’র চিকিৎসা করে, দুয়ের মধ্যে সমতাআনয়ন করে এবং স্বাস্থ্য, সুখ, সৌভাগ্য এবং দীর্ঘজীবনের পথ সুগম করে।রেইকি’র প্রধান সূত্র হলো সকল কুচিন্তা ত্যাগ করে নিরন্তর শুভচিন্তার মধ্যে জীবনযাপন করা। অর্থাৎ ‘কু’ বর্জণ, ‘সু’ গ্রহণ। রেইকি মতে মানব দেহে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মোট ৭টি চক্র বা লতিফা এবং২৪টি পয়েন্ট বা স্থান রয়েছে। বিভিন্ন রোগের উপশমের জন্য ভিন্ন ভিন্নপয়েন্টে স্পর্শের মাধ্যমে রেইকি প্রয়োগ করতে হয়। ডায়াবেটিস নিরাময়েরজন্য পূর্ণ শরীর তথা ২৪টি পয়েন্টেই হাতের স্পর্শদ্বারা রেইকি চিকিৎসা দিতেহয়। এর অতিরিক্ত দুই কনুইর অগ্রভাগ, ৭(থাইরয়েড), ১০(লিভার),১২(প্যানক্রিয়াস), ১৩(নাভিমূল), ১৪(মূলাধার), ১৭(পায়ের তালু)২২(কিডনি) নং পয়েন্টে রেইকি দিতে হয় ৫-৬মি. করে। এই চিকিৎসায়অল্পদিনেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। রেইকি চিকিৎসা চলা কালে কোন ব্যাক্তি ওষুধ হিসাবে ইনসুলিন গ্রহণ করে থাকলে তিনি প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসককে রিপোর্ট দেখিয়ে সে অনুযায়ী ওষধের মাত্রা নির্ধারণ করে নেবেন। কারণ রেইকি চিকিৎসায় শরীরের অঙ্গ সমূহ দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কার্য শুরু করে, ফলে প্যানক্রিয়াস ইনসুলিন তৈরী আরম্ভ করে। কাজেই সে অনুপাতে ওষুধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অতি জরুরী অন্যতায় ‘ইনসুলিন শক’ হতে পারে। রেইকি শিক্ষা বা শক্তি লাভ করার ব্যাপারে কোনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ভেদকরা হয় না। এর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কোনো প্রকার ডিগ্রীর প্রয়োজন হয়না, কোনো বিশেষ শারীরিক বা মানসিক যোগ্যতারও প্রয়োজন হয় না।অনেক টাকা বা সময়েরও দরকার হয়না। রেইকি’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলোএর সরলতা। শুধুমাত্র ইচ্ছা শক্তি সম্বল করে যে কেউ রেইকি শিখতে পারে।এবং রেইকি’র সাহায্যে নিজের বা অন্য মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, জড়ব¯ু—র চিকিৎসা করতে পারেন। এছাড়াও দেহ-মন-আত্মার সকল রোগেই রেইকি প্রয়োগ করে সুফল পাওয়াযায়। সমগ্র বিশ্বে প্রতিনিয়ত যে সকল রোগ ব্যাধিতে রেইকি প্রয়োগেচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো- ১. রেইকি চিকিৎসায় সাধারণ মাথাব্যাথা, মাইগ্রেন বা যে কোন ধরণের বাত-ব্যাথা, আর্থাইটিস, এলার্জি, আলসার, হৃদরোগ, পুড়ে যাওয়া, পিঠের ব্যাথা, পেটের রোগ, কিডনির রোগ, পিত্তের রোগ, লিভার সমস্যা, অনিদ্রা, ইত্যাদি সকল সাধারণ ও জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব। পলিও আক্রান্ত, অংগ বিকৃত রোগীদের জটিল অবস্থায়ও রেইকিতে সুফল পাওয়া যায়। রেইকি রোগের উৎপত্তিস্থলে গিয়ে সম্পূর্ণ আরোগ্য করে। ২. একইভাবে মুখেরব্রণ, রক্তাল্পতা, ক্ষুদামন্দা, হাঁপানী, শ্বাসের দুর্গন্ধ, সর্দি-কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অজীর্ণ, স্থূলতা, নিউমোনিয়া, ক্লান্তি, তরকা, স্নায়ু বিকার, হাইপার টেনশন, রক্তচাপ, রক্তাল্পতা, চোখের বিভিন্ন অসুখ, মায়োপ্যাথি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা যায়। ৩. পুরুষ ও নারীর ইনফার্টিলিটি, ডিম্বাশয়ের টিউমার, মাসিক ঋতুজনিত অসুস্থতা, শ্বেতস্রাব, সকল যৌনরোগ, সকল স্ত্রীরোগ, সিস্ট, বিছানায় প্রস্রাব, প্রষ্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যা, এমনকি ব্যথাহীন প্রসবেও সাহায্য করতে পারে রেইকি। গর্ভাবস্থায় রেইকি মা ও বাচ্চার স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বাচ্চা জন্মগত ত্র“টি নিয়ে জন্মায় না। ৪. রেইকি প্রয়োগের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য, স্মরণশক্তি, লেখা-পড়া, খেলাধুলা, ব্যবসা, চাকুরী, পদোন্নতি ও পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারেন। স্নায়ুচাপ, মানসিক দুর্বলতা, মাদকাসক্তি, বদভ্যাস, দুঃশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা, বদমেজাজ ও টেনশান ইত্যাদি থেকেও। ৫. আত্ম বিশ্বাসের অভাব, ক্লান্তি, উদ্বেগ, রাগ, নাকডাকা, থোথলামি, খিটখিটেপনা, ভয়, সকল মানসিক রোগ, মনঃসংযোগের অভাব, হতাশা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, স্মৃতি শক্তি হারিয়ে যাওয়া প্রভৃতি কতেক রোগে প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় ওষধের দ্বারা স্থায়ী উপশম করতে পারে না। অথচ আমাদের দেশেও আল্লার রহমতে রেইকি চিকিৎসায় আরোগ্য প্রাপ্তদের তালিকা ইতিমধ্যে ক্রমশঃ দীর্ঘতর হচ্ছে। রেইকি ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং পড়াশোনায় অমনোযোগীতা দূর করে। ৬. গাছপালা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ সকল জীব এবং জড়বস্তুতেও রেইকি প্রয়োগ করে চমৎকার ফল পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ ওষুধ বিহীন প্রাকৃতিক চিকিৎসা ‘রেইকি’ সম্পর্কে আরও জানতে, শিখতে, বই-পত্র, চিকিৎসা, পরামশ, তথ্য ও সেবার জন্য রেইকি সেন্টার বাংলাদেশ’র সাথে-01911113022 নম্বরে কথা করতে পারেন। বাড়ী # ৩৬, নাভানা গার্ডেন, কল্যাণপুর, মিরপুর রোড ঢাকায় কেন্দ্রটি অবস্থিত। এখানে সপ্তাহে একদিন সেমিনার, নিয়মিতরোগীদেখা, পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা দেয়া এবং ‘রেইকি- ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থডিগ্রি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বর্তমানে ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক জেলা ও উপজেলার বিভিন্নস্থানে ‘রেইকি চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালু হয়েছে যেখানে প্রশিক্ষিত রেইকি চ্যানেলগণের অনেকেই পেশাদার রেইকি প্রেক্টিশনার হিসাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেছেন। যে কোন রোগের চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণের জন্য তাঁদের সাথেও কথা বলা যায়। সকল স্থানীয় কেন্দ্রের ঠিকানা ও ফোন নম্বর ঢাকাকেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করা যায়। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সম্পূর্ণ ওষধ বিহীন চুম্বক চিকিৎসা বা ম্যাগনেটোথেরাপি এবং আকুপ্রেশার পদ্ধতি, প্রত্যেহ ১৫-২০ মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস প্রণালী বা ‘প্রাণায়াম’ অনুশীলন, প্রতিদিন নিয়মিত যোগাসন বিশেষভাবে ফলপ্রদ। রেইকিতে কর্মসংস্থান ঃ আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের অভাবের কথা, দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা সকলেরই জানা। রাতারাতি বড় লোক হওয়া বা লোক ঠকানোর কুমানসিকতা যাদের নেই, তারা রেইকি শিখে নিজের ঘরে বসেই জীবিকার জন্য অর্থ উপার্জন ও মানব সেবা করতে পারেন। ১. রেইকি চিকিৎসায় ওষুধ লাগে না। নেই কোন অস্ত্রপ্রচার বা রক্তক্ষরণ। ফলে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। রোগী দেখবেন, চিকিৎসা করবেন তার রোগ যন্ত্রণা লাগভ হলে, রোগী আরোগ্য লাভ করলে- চিকিৎসককে পারিশ্রমিক দিতে বাধা কোথায়। ২. আবার আজ এই ঔষধ, কাল সেই ঔষধ, আজ এই টেষ্ট, কাল সেই টেষ্ট বলে চিকিৎসার নামে দীর্ঘ সূত্রিতা ও রোগীদের অর্থ-স্বার্থ নাশের সুযোগও এখানে নেই। ৩. কাজেই সৎ ও নিষ্টাবান ব্যাক্তিরা, আদর্শ জীবন যাপনে আগ্রহীরা স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য রেইকি শিখতে পারেন। চর্চা ও সাধনার মাধ্যমে নিজেকে আদর্শ রেইকি চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। জীবনকে করতে পারেন সফল ও প্রাচুর্য্যময়। কাজেই সৎ পথে আর্থিক সচ্ছলতা চাইলে রেইকি শিখুন। ৪. আবার প্রায়োগিক সীমার বিবেচনায় অন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি রেইকির বিকল্প হতে পারে না। এ বিদ্যা শিখতে সময় লাগে কম, শিখার খরচও কম। আবার চিকিৎসা কালে ওষুধপত্র ও টেষ্টের জন্যও আর খরচ হয় না।. রেইকি শিখে আত্ম-উন্নয়নের পাশাপাশি নিজের ও অন্যের কল্যাণে, তথা আত্ম উন্নয়ন, দেহ-মনের রোগ নিরাময়ে রেইকি প্রয়োগ করে নিজের চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যকে চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে স্ব-কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। রোজগার ও মানবসেবা করা যায় ঘরে বসে।
 • নিবন্ধকার--এম. মহিউদ্দিন ইসলাম, বিকল্প চিকিৎসা গবেষক, লেখক, পরামর্শক, রেইকি মাস্টার টিচার, ম্যাগনিফাইট হিলিং মাষ্টার। ফোনঃ 01611113022 •
Web.www. reikicenterbd.net